বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

বৃষ্টির চক্রাবর্তন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে যা বলা হয়েছে!

বৃষ্টির চক্রাবর্তন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে যা বলা হয়েছে!

এভাবে আকাশ পৃথিবীকে সেই পানি ফিরিয়ে দেয় যা একটি নিত্য চক্রাবর্তে তার কাছে উঠে। এই বিষয়টি বর্ণনার পর কোরান মাজিদ মানব জাতিকে পৃথিবী বিদীর্ণ হওয়ার প্রতি মনোনিবেশ করার দাওয়াত দেয়। যেমন, ‘বৃষ্টির ফলে জীবনের উদ্ভব।

শপথ আসমানের, যা প্রদান করে আবর্তিত বৃষ্টি। শপথ পৃথিবীর, যা বিদীর্ণ হয় (বৃষ্টির কল্যাণে)। নিশ্চয় এটা (কোরান মাজিদ সত্য ও মিথ্যার মধ্যে) ফয়সালাকারী বাণী। আর তা উপহাসের বিষয় নয়। (আত-তারিক, ৮৬ : ১১-১৩)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবতীর্ণ করেছেন যা কোরান অবতীর্ণ হওয়ার পরও বহু শতাব্দী পর্যন্ত মানুষের অজানা ছিল। এই আয়াত যে ‘বৃষ্টির আবর্তন’ -এর কথা বলে তা ছিল আরব বেদুঈনদের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত। এখন আমরা জানি যে, ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ ও সাগরের পানি সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে মেঘে রূপান্তরিত হয়, ঘনীভূত হয় এবং বৃষ্টি রূপে পুনরায় পতিত হয়। এভাবে আকাশ পৃথিবীকে সেই পানি ফিরিয়ে দেয় যা একটি নিত্য চক্রাবর্তে তার কাছে উঠে। এই বিষয়টি বর্ণনার পর কোরান মাজিদ মানব জাতিকে পৃথিবী বিদীর্ণ হওয়ার প্রতি মনোনিবেশ করার দাওয়াত দেয়। যেমন, ‘বৃষ্টির ফলে জীবনের উদ্ভব। কোরান মাজিদ অবশেষে মানব জাতিকে দাওয়াত দেয় তার যথার্থতা ও প্রাজ্ঞতা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে। এটিকে নিছক মনোরঞ্জনের বিষয় হিসেবে নেয়া মানুষের জন্য অনুচিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন