মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৫

সর্বোত্তম আদর্শ হজরত মোহাম্মদ (সা.)

সর্বোত্তম আদর্শ হজরত মোহাম্মদ (সা.)
আল্লাহ তায়ালা এ পৃথিবীতে মানবজাতিকে তার খলিফা হিসেবে প্রেরণ করেছেন। কিন্তু মানুষেরা কালাতিক্রমে দায়িত্বের কথা ভুলে শয়তানের কুমন্ত্রনায় নিমজ্জিত হয়ে মানব রচিত বিধান অনুসরণ করে। ইতিহাস নিংড়ানো তথ্য থেকে প্রমাণিত-এ পৃথিবীতে অনেক দার্শনিক, চিন্তাবিদ, বিশাল সাম্রাজ্যের স্থপতি, রাজা-মহারাজা ও সম্রাট, বিজয়ী বীর, অনেক প্রভাবশালী দল ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, সমাজকাঠামোতে তোলপাড় সৃষ্টিকারী বিপ্লবী নেতা, সভ্যতার রঙ্গমঞ্চে আর্বিভূত নিত্য নতুন ধর্মের প্রবর্তক, নৈতিক সংষ্কার ও আইন প্রণেতার আর্বিভাব ঘটেছে। তাদের রেখে যাওয়া অবদান, তৎপরতা ও চেষ্টাসাধনের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে কোথাও তাদের পরিপূর্ণ কল্যাণ ও সফলতা নেই; বরং সফলতার সম ব্যর্থতার পাহাড় বিদ্যমান। মানবজাতিকে তারা সঠিক পথের সন্ধান-ই দিতে পারেনি। এ জন্যই আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী ও রাসূল প্রেরণ করে মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। নবী মোহাম্মদ (সা.) হলেন তাদের সকলের মধ্যে উত্তম এবং অন্যতম। তার নৈতিক চরিত্র, আন্তরিকতা, সত্যবাদীতা, অনঢ় মনোবল, ধৈর্য, নিষ্ঠা, মানবতাপ্রেম, এবং আল্লাহর প্রতি অফুরন্ত ভয় ও ভালোবাসা ছিল অতুলনীয়। আর সেজন্যই সকল শ্রেনীর মানুষেরা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দলে দলে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে ইসলামের প্রভাব ও প্রসার বৃদ্ধি করেছে। জন উইলিয়াম ড্রেপার বলেছেন, Four years after the death of Justinian, in AD 569 was born at mecca, in Arabia, the man (Muhmmad) who, of all men, has exercised the greatest influence upon the human race. অর্থৎ- সম্রাট জাস্টিনের মৃত্যুর চার বছর পর ৫৬৯ (মতান্তর) খ্রিষ্টাব্দে আরবের মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন ‘মোহাম্মদ’ যিঁনি পৃথিবীর সকলের মধ্যে মানবজাতির উপর সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছেন।
বিশ্বনবীর চরিত্র : চরিত্র কথাটি অত্যন্ত ব্যাপক। মানুষের ক্ষুদ্র-বৃহৎ যাবতীয় কার্যাবলিই চরিত্রের অর্ন্তভুক্ত। সাধারণত মানুষ তার দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও ভাব-ভঙ্গি দ্বারা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাই করে সেটাই চরিত্র। এক কথায় কর্মই মূলত চরিত্র। সুতরাং কর্মের ভিত্তিই চরিত্রের মূল ভিত্তি। সে সূত্র অনুযায়ী বিশ্বনবীর সমস্ত কর্মকাণ্ডই তাঁর চরিত্র। আল্লাহ তায়ালা রাসূল (সা.) এর মধ্যে পূর্ণ শাসন ক্ষমতা এবং অতুলনীয় সৎ চরিত্রের সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন। অথচ তিঁনি ছিলেন নিরক্ষর, কোনো শিক্ষকের দ্বারা তিনি শিক্ষার আলো পাননি। আল্লাহ নিজেই তাঁকে সুন্দর চরিত্র, উত্তম আদর্শ এবং প্রশংসনীয় স্বভাব শিক্ষা দিয়ে পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের নিকট উত্তম চরিত্রের মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। এডওয়ার্ড গীবন এর ভাষায় : ‘Those who saw him were suddenly filled with reverence; those who came near him loved him; Those who described him would; say ÒI have never seen his like either before or after’ অর্থৎ যারা তাঁকে স্বচক্ষে দেখেছে আকস্মিকভাবে শ্রদ্ধায় শ্রদ্ধাপ্লুত হয়েছে। যারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছে তারা তাঁকে ভালোবেসেছে। যারা তাঁর সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছে তারা বলতে বাধ্য হয়েছে, আমি পূর্বে এবং পরে তাঁর মত অনুরুপ কাউকে দেখিনি।
ব্যবহারিক জীবন : তিঁনি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, নম্র ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তাঁকে যারা কষ্ট দিয়েছে তাদের সাথে রূঢ় আচরণ তো করতেন-ই না; বরং ক্ষমা করে দিতেন। বন্ধুদের সাথে তার আচরণ ছিল খুবই উত্তম এবং বিনয়ী। তিঁনি জীবনে কখনো গরিব, ফকির, মিসকিন, গোলাম, দাসী, শরীরিক বিকলাঙ্গদের ঘৃণা করতেন না। তাদের সাথে যে আচারণ করতেন তাতেই তাঁকে তাদের-ই বন্ধু ও প্রিয়জন বলে মনে হত। তাছাড়া তিঁনি গোলামদের সাথে একত্রে বসে পানাহার করতেন। আরোহীর পিছনে গোলাম অথবা অন্য কাউকে অরোহী করে নিতেন। তাদের খাদ্য এবং পোশাক পরিচ্ছদ থেকে রাসূলের খাদ্য ও পোশাক পরিচ্ছদ ভিন্ন হত না। বিশ্বনবীর এ মর্যাদা ও গুরুত্ব থাকা সর্তে¡ও তার স্বাভাবিক জীবন যাপন দেখে জর্জ বার্নার্ড-শ বলেন : I have studied him-the wonderful man-and in my opinion far from being an Anti-Christ he must be called the saviour of humanity. I believe that if a man like him were to assume the dictatorship of the modern world he would succeed in solving its problems in a way that would bring it the much-needed peace and happiness. অর্থাৎ ‘আমি মোহাম্মদের জীবনী নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করেছি। আমার অভিমত এই যে, এই চমৎকার মানুষটি দাজ্জাল তো ছিলেন-ই না, বরং তাকে মানবজাতির ত্রাণকর্তারুপে পরিচিহিৃত করা যেতে পারে। আমি বিশ্বাস করি যে, মোহাম্মদের ন্যায় একজন ব্যক্তি যদি সমস্ত পৃথিবীর একনায়কত্ব গ্রহণ করেন তা হলে তিঁনি বর্তমান বিশ্বের সমস্যাদি এমন ভাবে সমাধান করতে সক্ষম হবেন যা, বিশ্বের জন্য বহন করে আনবে অপরিহার্য, বহু-প্রতিক্ষিত সুখ ও শান্তি।’
পারিবারিক জীবনঃ বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সা.) পরিবারের সকলকে ভালোবাসতেন। স্ত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন না; বরং সকলের সাথে সমান ব্যবহার করতেন। তাদেরকে কখনো কষ্ট দেননি বরং সকল সময় তাদের ব্যক্তিগত ও পরিবারিক কাজে সহযোগিতা করতেন। তিনি সন্তানদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। পুত্র ইব্রাহীম যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন তাকে দুধ পানের জন্য মক্কার অনেক দূরে কামার পরিবারে দেওয়া হয়। তাকে দেখার জন্য পায়ে হেঁটে প্রায় ঐ বাড়িতে যেতেন এবং কোলে নিয়ে আদর করে বাড়ি ফিরতেন। তাছাড়া তিঁনি বলতেন ফাতিমা আমার কন্যা, আমি তাকে দুনিয়ার সবার থেকে বেশি ভালোবাসি। কোথাও সফরে যাওয়ার সময় সব শেষে তিনি ফাতিমার নিকট থেকে বিদায় নিতেন এবং ফিরে এসে সর্ব প্রথম ফাতিমার সাথে সাক্ষাত করতেন। তাছাড়া তিঁনি হজরত হাসান এবং হুসাইনকে তার কলিজার টুকরা বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সামাজিক অবদান : সমাজ সংস্কারক হিসেবে তাঁর অবদান অতুলনীয়। সমাজের প্রতিষ্ঠিত সমস্ত অশ্লীল ও অমানবিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিঁনি ব্যক্তি জীবনে সমস্ত অশ্লীলতা থেকে মুক্ত ছিলেন। নাচ, গান, মদ, জুয়া, বেগানা নারীর দিকে হস্ত উত্তোলন তো দূরের কথা তাদের দিকে চক্ষু উঁচু করেও দেখতেন না, অন্যদেরকেও নিষেধ করতেন। সামাজিক অশ্লীলতা এবং নোংরামি কার্যকলাপ বন্ধের জন্য তিঁনি সদা ব্যস্ত থাকতেন। কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে দাঁড়ানো, রুগীর জন্য সেবা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, কেউ মারা গেলে তার জানাজাতে উপস্থিত হওয়া, অলিমাসহ অন্যান্য দাওয়াত গ্রহণ করা এবং সমাজের সমস্ত বিবাদ সংঘাত মীমাংসার কাজেই তিনি ব্যস্ত থাকতেন। সমাজে সকলের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করে ঐক্যের প্রাচীর বিনির্মাণে মশগুল থাকতেন। নিজে অমুসলিদের সাথেও উত্তম ব্যবহার করতেন এবং সাহাবাদেরকেও আদেশ দিতেন। তাদের প্রতি কেউ জুলুম করলে তিঁনি সুষ্ঠু বিচার করতেন। এ জন্যই অমুসলিমরাও রাসূলের নিকট থেকে ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তামুক্ত থাকত।
রাজনৈতিক অঙ্গন : তিনি একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ছিলেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার ভূমিকা ছিল প্রজ্ঞাময় ও সহনশীল। তিঁনি সচেষ্ট ছিলেন আলোচনার মাধ্যমে সমাস্যার সমাধান করতে। মক্কার কাফিরদের সাথে হুদায়বিয়া সন্ধি করে যুদ্ধ থেকে মুক্ত হন। কিন্তু কাফেররা তাদের চুক্তি ভঙ্গের কারণে পরবর্তীতে আল্লাহর আদেশে তিনি যুদ্ধে লিপ্ত হন। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহের সাথে যোগাযোগ বহাল রাখতেন। কিন্তু ইসলামের ক্ষেত্রে কারোর সাথে আপস করতেন না। অপর দিকে মদিনা রাষ্ট্র সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য তিনিই সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান রচনা করে পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এবং সাহাবাদের পরামশের্র ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার নিমিত্তে মাজলিসে সূরা (সংসদ) গঠন করেন।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্র : তাঁর অর্থনৈতিক চিন্তা চেতনা এবং দর্শন থেকে বর্তমানে গবেষণা করে সুস্থ ও সুদ মুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যার সুনাম ও সফলতা এদেশসহ সকল দেশের মানুষের মুখে মুখে ভেসে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া ব্যক্তি জীবনে কোনো প্রকার সুদ, ঘুষ, অবৈধ হাদিয়া-মুনাফা, গ্রহণ করতেন না। বরং অনুসারীদের উপর ঐ সমস্ত আদান প্রদান সম্পূর্ণ হারাম করেছেন। তাছাড়া বিবাহের সময় যৌতুক দেয়া এবং নেওয়া উভয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তিঁনি ব্যবসা বাণিজ্যে কখোনো ধোঁকা এবং ওজনে কম দিতেন না। অন্যের সম্পদের প্রতি কোনো লোভ-ই ছিলনা। মক্কার লোকেরা তার নিকট বিনা প্রমাণে সম্পদ গোচ্ছিত রাখত। তিনি কখনো আমানতের খেয়ানত করেন নাই। তাছাড়া দানের হাত ছিল অনেক বড়। সম্পদ কখনো গচ্ছিত রাখতেন না। গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি মৃত্যুর পূর্বে সর্বশেষ সম্বল টুকুও মানুষের জন্য উৎসর্গ করেন।
 অনুকরণীয় চরিত্র : মানব সভ্যতায় কোনো ব্যক্তি সকল ক্ষেত্রে বেশি চরিত্রবান, মর্র্যাদাবান ও প্রশংসিত, তা নিয়ে যুগযুগ ধরে চিন্তা ও গবেষণা চলে আসছে। কোনো ব্যক্তি অতি অল্প সময়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান করেছে, প্রতিষ্ঠা করেছে শান্তির মোহনা? এ গবেষণার সমাধান হিসেবে যার নাম-ই বারবারই এসেছে তিনি হলেন বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সা.)। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, চরিত্র জগতে আপনার চরিত্রই হলো মহান চরিত্র। সুতারং সে চরিত্রকেই তোমরা মডেল হিসাবে গ্রহণ কর। সে সম্পর্কে অন্যত্র বলেন তোমাদের জন্যই রয়েছে রাসূল মোহাম্মদ (সা.)-এর আর্দশই সর্বোত্তম আদর্শ। বিশ্বনবীর চরিত্রই যে শ্রেষ্ঠ সে কথা অমুসলিম গবেষকরাও অকুন্ঠচিত্তে মেনে নিয়েছে। তার প্রশংসা করতে গিয়ে টমার্স কার্লাইল বলেন : On Hero, Hero Worship and Heroic in History : Hero as prophet. অর্থৎ শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যে নয়, ঈশ্বর প্রেরিত দূত বা নবী-রাসূলদের ন্যায় অতি অসাধারণ ব্যক্তিদের মধ্যেও তিনিই ‘হিরো’ নায়ক ছিলেন। তাছাড়া সাম্প্রতিক গবেষক মাইকেল এইস,হার্ট তার “দ্য হানড্রেট” বই লিখতে গিয়ে প্রমাণ দিলেন এভাবেই; সকলের পূর্বে মোহাম্মদ (সা.)-এর নাম ও জীবনী উল্লেখ করে। তার কাছে প্রশ্ন করা হলো আপনি অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের নবীকে প্রথমে কেন উল্লেখ করলেন? তিনি দ্বিধাহীন চিত্তে বললেন আমি স্বতন্ত্র মনে বিচার বিচক্ষণ করে তার উপর কোনো মহান ব্যক্তিই পেলামনা, এজন্যই আমি তার জীবনী প্রথমে উল্লেখ করেছি।
বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সা.) সৎ ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন, এটি যেমন সত্য; তেমনিভাবে কেয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত তার মতো চরিত্রবান মানুষের আগমন ঘটবেনা এটিও চিরন্তন সত্য। মুষ্টিমেয় যারা তাঁর চরিত্র নিয়ে কু-মন্তব্য করে, তাদের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে তারা নিজেরাই চরিত্রহীন ব্যক্তি। নিজেদের অপরাধ গোপন করার জন্য তাদের বোঝা অন্যের উপরে চাপিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া চিন্তা ও গবেষণার বিষয় হলো, একজন ব্যক্তি এত অল্প সময়ে একটি পরিবার, সমাজ, জাতি, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন সাধন করে সে স্থানে আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের প্রবর্তন করেছেন। তিনি অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, স্বরাষ্ট্রনীতি, পরাষ্ট্রনীতি, যুদ্ধনীতি, আন্তর্জাতিক মহলের সাথে সম্পর্কসহ সমস্ত সমস্যাগুলি ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী সমাধান করেন। আমার প্রশ্ন একজন চরিত্রহীন ব্যক্তির দ্বারা ঐ সমস্ত মহৎ কাজগুলি করা কি সম্ভব? মোটেও সম্ভব নয়; বরং তার দ্বারা সমাজে ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা হওয়াটাই স্বাভাবিক। অথচ তিঁনি কখনো দেশ ও জাতির ক্ষতিকর মূলক কোনো কাজ-ই করেননি। তার এ মহত্ব, সাহসিকতা, অনঢ় মনোবল ও প্রচেষ্টা দেখে আলফ্রেড দ্যা লামার্টিন বলেন : Philosopher, orator apostle, legislator, warrior, conqueror of ideas, restorer of rational dogmas, of a cult without images; the founder of twenty terrestrial empires and of one spiritual empire, that is Muhammad. As regards all standards by which human greatness may be measured, we may will ask is there any man greater than he? অর্থাৎ- দার্শনিক, বাগ্মী, ধর্ম প্রবর্তক, আইন প্রণেতা, মতবাদ বিজয়ী, ধর্মমতের এবং প্রতিমা বিহীন উপাসনা পদ্ধতির পুনঃসংস্থাপক, বিশটি পার্থিব সম্রাজ্যের এবং একটি ধর্ম সম্রাজ্যের সংস্থাপক কর্তাÑই হল মোহাম্মদ। যে সমস্ত মাপকাঠির দ্বারা মানবীয় মহত্ব পরিমাপ করা হয়ে থাকে সেগুলোর প্রত্যেকটির আলোকে তাঁকে বিবেচনা করা হলে, আমরা একথা সহজেই জিজ্ঞাসা করতে পারি যে, কোনো মানব কি তার তুলনায় মহান বা মর্যদাবান ছিল?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন