শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সময়ের গাঢ় অভিঘাত

সময়ের গাঢ় অভিঘাত



আমাদের জীবনের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম শিল্প, সে মূর্ত বা বিমূর্ত—যে মাধ্যমেই হোক না কেন। কোনো কিছুকে স্মরণীয় করার ক্ষেত্রেও অনেক সময় শিল্পের আশ্রয় নিই আমরা। 
ভাস্কর্যের শৈল্পিক মুনশিয়ানা এবং সুনিপুণতা আকৃষ্ট করে দর্শককে। প্রতিটি শিল্পকর্মেরই আছে নিজ নিজ শোভা, নানা গল্প। তবু কিছু কিছু ভাস্কর্য ও ছবির মহিমা ছিল সত্যিই অন্য রকম। নির্মল অধিকারীর ‘আহত জন্ম’ এর মধ্যে একটি। এ ছবির মূল বিষয়বস্তু শিশু—বাড়ির পাশে যে শিশুটি নির্যাতিত, যুদ্ধকবলিত দেশে গোলাবারুদে আহত হয়েছে যে শিশু—একটি শিশু–অবয়বের মধ্য দিয়ে এমন সব শিশুর কথা উঠে এসেছে এখানে। ছবিটি আমাদের ভাবায়।
 এটি যেন কোনো এক প্রেমিকের প্রেমময় স্মারক।
 এই মুঠোফোন-খুদে বার্তার যুগেও একটি নীল খামের বেনামি চিঠি, কীভাবে আকুল করে মনকে, এখানে বলা হয়েছে সেই কথা।। বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনা শিল্পীর ভেতর কেমন করে ক্রিয়াশীল, তার আঁচ আছে কাজটির মধ্যে।
একটি শিল্পকর্ম সব সময়ই স্ব-মহিমায় উদ্ভাসিত। তবে শিল্পকর্মের শিরোনাম এর বাহ্যিক সৌন্দর্য ছাপিয়ে শিল্পকর্ম-স্রষ্টার ভাবনা বুঝতে সাহায্য করে—বহুচর্চিত এ কথাগুলো মনে করে দেখার পর। কেননা, এখানকার কোনো কোনো  সৌন্দর্য বিচারে চমৎকার হলেও কয়েকটি কথা নামকরণের সঙ্গে এর বিষয়বস্তুর কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। যেমন নামিরাহ ফারজানার ‘আবহমান বাংলার মুখ’-এ আবহমান বাংলাকে খুঁজে পাওয়া যায় না ঠিক, যদিও শৈল্পিকতার দিক দিয়ে ছবিটি অত্যন্ত সুচারু।
সবশেষে বলি কথাটির  একটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে—বেশির ভাগ কথাতে শিল্পীরা নিজেকে প্রকাশ করেছেন বিমূর্ততার আশ্রয়ে। তবে তাঁদের সেই প্রকাশভঙ্গির মধ্যে রয়েছে সমকালীন শিল্পধারার প্রবাহ ও সময়ের গাঢ় অভিঘাত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন