হাদিসের আলো
বেশ ক’দিন ধরে ক্লাসে অনুপস্থিত সা’দ। কিন্তু কেন? এ নিয়ে তার সহপাঠীদের কারোই কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং সবাই একধরনের খুশিই বলা চলে। তবে প্রতিদিনের আড্ডা-আলোচনায় তার প্রসঙ্গ থাকছেই। সা’দের অনুপস্থিতির বিষয়টাকে সবাই কেমন উপভোগ করছে। টিপ্পনী কেটে কেউ কেউ বলছে, সা’দ কি মঙ্গলগ্রহে পাড়ি জমাল না কি! তাহলে তো বেচারা মঙ্গলের কপালেও অমঙ্গল আছে!
সা’দ মূলত ডানপিটে স্বভাবের ছেলে। কারো সাথেই সে মিশতে পারে না। ক্লাসে তার একজন বন্ধুও নেই। থাকবে কী করে! কথায় কথায় সে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। সেদিনও সে তার সহপাঠী রাহীর নাক ফাটিয়ে দিয়েছিল। তার ভাবখানা এমন যে, ঝগড়া-ঝাঁটি, মারামারি করলেই বীর আখ্যা পাওয়া যাবে। সবাই তাকে ভয় করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ সে যে দিন দিন সবার ঘৃণার পাত্র হচ্ছে- এ কথাটা সে বুঝতে পারছে না।
একদিন শ্রেণিশিক্ষক ক্লাসে সা’দের প্রসঙ্গ তুললেন। বললেন, সা’দ অসুস্থ। ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে তার। স্যারের কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে উঠল। একজন তো বলেই ফেলল, ‘মহাবীর আলেক্সান্ডার কি তাহলে মশার কাছেই কুপোকাত?’ স্যারের এক ধমকে চুপসে গেল সবাই। স্যার এবার ক্লাসের সকল ছাত্রকে প্রস্তাব দিলেন তাকে দেখতে যাবার। কিন্তু কারো মুখে কোনো রা শব্দ নেই। এ যেন অসীম নীরবতা!
শ্রেণিশিক্ষক বিষয়টি বুঝতে পারলেন। বললেন, শোনো! আমাদের প্রিয়নবী সা:-এর চলার পথে প্রতিদিন এক দুষ্টবুড়ি কাঁটা বিছিয়ে রাখত। একদিন পথে কাঁটা না দেখে তিনি সরাসরি বুড়ির বাড়ি চলে গেলেন। বুড়িকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে তিনি তার সেবা-যত্ন শুরু করে দিলেন। এ দৃশ্য দেখে বুড়ি তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ইসলামই গ্রহণ করে বসল। হতে পারে সা’দও তার বিপদের মুহূর্তে তোমাদের কাছে পেয়ে তার ভুল বুঝতে পারবে।
স্যার আরও বললেন, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া ও তার সেবা-শুশ্রুষার ব্যাপারে হাদিসে অনেক উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। যেমন, “সাহাবী সাওবান রা: থেকে বর্ণিত। রাসূল সা: বলেছেন, এক মুসলিম যখন অপর মুসলিম ভাইয়ের সেবা-যত্ন করে, তখন সে মূলত জান্নাতের ফলফলারি আহরণে লিপ্ত থাকে। এমনকি সেখান থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত।” (মুসলিম)
শ্রেণিশিক্ষকের আবেগঝরা কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে সবাই এসে হাজির হলো সা’দদের বাড়িতে। সা’দ যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না। এক এক করে সবাইকে বুকে জড়িয়ে ধরল সে। আর ততক্ষণে তার চোখ দুটো যেন অশ্রুনদী হয়ে গেছে
সা’দ মূলত ডানপিটে স্বভাবের ছেলে। কারো সাথেই সে মিশতে পারে না। ক্লাসে তার একজন বন্ধুও নেই। থাকবে কী করে! কথায় কথায় সে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। সেদিনও সে তার সহপাঠী রাহীর নাক ফাটিয়ে দিয়েছিল। তার ভাবখানা এমন যে, ঝগড়া-ঝাঁটি, মারামারি করলেই বীর আখ্যা পাওয়া যাবে। সবাই তাকে ভয় করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ সে যে দিন দিন সবার ঘৃণার পাত্র হচ্ছে- এ কথাটা সে বুঝতে পারছে না।
একদিন শ্রেণিশিক্ষক ক্লাসে সা’দের প্রসঙ্গ তুললেন। বললেন, সা’দ অসুস্থ। ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে তার। স্যারের কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে উঠল। একজন তো বলেই ফেলল, ‘মহাবীর আলেক্সান্ডার কি তাহলে মশার কাছেই কুপোকাত?’ স্যারের এক ধমকে চুপসে গেল সবাই। স্যার এবার ক্লাসের সকল ছাত্রকে প্রস্তাব দিলেন তাকে দেখতে যাবার। কিন্তু কারো মুখে কোনো রা শব্দ নেই। এ যেন অসীম নীরবতা!
শ্রেণিশিক্ষক বিষয়টি বুঝতে পারলেন। বললেন, শোনো! আমাদের প্রিয়নবী সা:-এর চলার পথে প্রতিদিন এক দুষ্টবুড়ি কাঁটা বিছিয়ে রাখত। একদিন পথে কাঁটা না দেখে তিনি সরাসরি বুড়ির বাড়ি চলে গেলেন। বুড়িকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে তিনি তার সেবা-যত্ন শুরু করে দিলেন। এ দৃশ্য দেখে বুড়ি তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ইসলামই গ্রহণ করে বসল। হতে পারে সা’দও তার বিপদের মুহূর্তে তোমাদের কাছে পেয়ে তার ভুল বুঝতে পারবে।
স্যার আরও বললেন, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া ও তার সেবা-শুশ্রুষার ব্যাপারে হাদিসে অনেক উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। যেমন, “সাহাবী সাওবান রা: থেকে বর্ণিত। রাসূল সা: বলেছেন, এক মুসলিম যখন অপর মুসলিম ভাইয়ের সেবা-যত্ন করে, তখন সে মূলত জান্নাতের ফলফলারি আহরণে লিপ্ত থাকে। এমনকি সেখান থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত।” (মুসলিম)
শ্রেণিশিক্ষকের আবেগঝরা কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে সবাই এসে হাজির হলো সা’দদের বাড়িতে। সা’দ যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না। এক এক করে সবাইকে বুকে জড়িয়ে ধরল সে। আর ততক্ষণে তার চোখ দুটো যেন অশ্রুনদী হয়ে গেছে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন