পৃথিবীর আকৃতি কেমন ?
আদিম সময়কাল থেকে মানুষের অনুমানপূর্ব ধারনা করত যে, পৃথিবীর আকার হচ্ছে চ্যাপ্টা বা সমতল। হাজার বছর ধরে হাস্যকরভাবে মানুষ বেশি দূর পযর্ন্ত ভ্রমন করত না পৃথিবীর কিনারা থেকে ছিটকে পড়ে যাবার ভয়ে । ১৫৯৭ সালে ফ্রান্সিস ড্রেক প্রথম পৃথিবীর চারদিকে নৌ-ভ্রমন করে প্রমান করেছিলেন যে, পৃথিবী গোলাকার। দিনরাত্রির পরিবর্তন সম্পর্কে আল কোরআনের নিচের আয়াতটির দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক-
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পযর্ন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন? ” [সুরা লুকমান-৩১:২৯]
লক্ষনীয় যে এখানে বলা হচ্ছে, রাত ধীরে ধীরে এবং ক্রমশ দিনে রূপান্তরিত হয়, অনুরূপভাবে দিনও ধীরে ধীরে রাতে রূপান্তরিত হয়। এ ঘটনা কেবল পৃথিবী গোলাকার হলেই ঘটতে পারে। পৃথিবী যদি চ্যাপ্টা বা সমতলভূমি হত, তাহলে রাত্রি থেকে দিনে এবং দিন থেকে রাত্রিতে একটা আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে যেত। অর্থাৎ সেকেন্ডের মধ্যে দিন হতো আবার সেকেন্ডের মধ্যেই কিছু বুঝে উঠার আগেই রাতের প্রবেশ ঘটতো। একই তথ্য আল্লাহপাক দিয়েছেন সুরা যুমার : ৩৯ : ৫
তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রি দিয়ে দিনকে আছাদিত করেন এবং দিন দিয়ে রাত্রিকে আছাদিত করেন। তিনি নিয়মাধীন করেছেন সূর্য ও চন্দ্রকে। প্রত্যেকেই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলতে থাকবে। জেনে রাখ তিনি পরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল। (কোরআন, ৩৯ : ৫)
পেঁচানো বা জড়ানো আরবী শব্দ কাওওয়াররার অনুবাদ। এর মূল অর্থ হচ্ছে মাথার চারপাশে পাগড়ী পেঁচিয়ে বাঁধা। অবিরত পেঁচানোর পদ্ধতি-যাতে এক অংশ আরেক অংশের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে, কুরআনে এমনভাবে বলা হয়েছে যে মনে হয় সে সময়ে পৃথিবীর গোলাকৃতি হওয়ার ধারণার সাথে মানুষ পরিচিত ছিল, যা স্পষ্টতঃই সত্য নয়।
পৃথিবী বলের মত পুরপুরি গোলাকার নয় বরং কমলা বা ডিমের মত, নিচের আয়াতে পৃথিবীর আকারের বর্ণনা দেয়া হয়েছে-
আর আল্লাহ্ পৃথিবীকে উহার পর ডিম্বাকৃতি করে তৈরি করেছেন।
এখানে ডিমের জন্য ব্যাবহৃত আরবি শব্দ হচ্ছে “دَحَاهَا” , যার অর্থ হচ্ছে উট পাখির ডিম, এবং উট পাখির ডিমের আকৃতি হল পৃথিবীর মত। স্যাটেলাইট হতে প্রাপ্ত ছবি ও বিভিন্ন জটিল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরীক্ষা- নীরীক্ষার দ্বারা সুনিশ্চিত হওয়া গেছে আমাদের এ পৃথিবী exactly উট পাখির ডিমের ন্যায়। এইভাবে কোরআনে ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীর আকৃতির বর্ণনা সঠিক দেয়া হয়েছে, যদিও পৃথিবী চ্যাপ্টা হবার ধারনাটাই তখন প্রচলিত ছিল।
তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রি দিয়ে দিনকে আছাদিত করেন এবং দিন দিয়ে রাত্রিকে আছাদিত করেন। তিনি নিয়মাধীন করেছেন সূর্য ও চন্দ্রকে। প্রত্যেকেই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলতে থাকবে। জেনে রাখ তিনি পরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল। (কোরআন, ৩৯ : ৫)
পেঁচানো বা জড়ানো আরবী শব্দ কাওওয়াররার অনুবাদ। এর মূল অর্থ হচ্ছে মাথার চারপাশে পাগড়ী পেঁচিয়ে বাঁধা। অবিরত পেঁচানোর পদ্ধতি-যাতে এক অংশ আরেক অংশের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে, কুরআনে এমনভাবে বলা হয়েছে যে মনে হয় সে সময়ে পৃথিবীর গোলাকৃতি হওয়ার ধারণার সাথে মানুষ পরিচিত ছিল, যা স্পষ্টতঃই সত্য নয়।
পৃথিবী বলের মত পুরপুরি গোলাকার নয় বরং কমলা বা ডিমের মত, নিচের আয়াতে পৃথিবীর আকারের বর্ণনা দেয়া হয়েছে-
আর আল্লাহ্ পৃথিবীকে উহার পর ডিম্বাকৃতি করে তৈরি করেছেন।
এখানে ডিমের জন্য ব্যাবহৃত আরবি শব্দ হচ্ছে “دَحَاهَا” , যার অর্থ হচ্ছে উট পাখির ডিম, এবং উট পাখির ডিমের আকৃতি হল পৃথিবীর মত। স্যাটেলাইট হতে প্রাপ্ত ছবি ও বিভিন্ন জটিল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরীক্ষা- নীরীক্ষার দ্বারা সুনিশ্চিত হওয়া গেছে আমাদের এ পৃথিবী exactly উট পাখির ডিমের ন্যায়। এইভাবে কোরআনে ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীর আকৃতির বর্ণনা সঠিক দেয়া হয়েছে, যদিও পৃথিবী চ্যাপ্টা হবার ধারনাটাই তখন প্রচলিত ছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন