মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান

আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান


সত্য কুরআন: কিছু বৈজ্ঞানীক বিশ্লেষণ
----------------------------------------------------
ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই: সূরা ফাতেহার প্রথম আয়াতে রয়েছে:
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ( 2
অর্থাৎ-‘সমস্ত প্রসংশা সেই আল্লাহর যিনি বহু বিশ্বের প্রতিপালক প্রভূ’। (সূরা ফাতিহা: )
তরজমা ও তাফসিরকারবৃন্দ প্রধানত ‘রব’ বা ‘প্রতিপালক বা প্রভূ’ শব্দটির উপরে বেশী জোর দিয়েছেন। আধুনিক যুগে এসে কেউ কেউ যদিও বলছেন আলামিন শব্দটা আলম এর বহুবচন, কিন্তু তরজমার বেলায় তারা রাব্বুল আলামিনের অর্থ করেছেন ‘সমস্ত সৃষ্টির প্রতিপালক’ এভাবে এই আলামিন শব্দটির মধ্যেই কুরআনে বহু বিশ্বের যে ধারণা তুলে ধরা হয়েছে, সেদিকে মুসলমান সমাজ ক্রমান্বয়ে সরে এসেছে। এই সরে আসাটা শুধু ধারণা থেকে নয়, জ্ঞান বিজ্ঞানের রাজ্য থেকেও। অবশ্য আল্লামা ইফসুফ আলী, মুফতি মুহাম্মদ শফি রাহ. প্রমূখ মনীষী প্রাচীন তাফসিরকারদের বক্তব্য টেনে বলেছেন, এই সৌর জগতের আরো সীমাহীন জগত রয়েছে। (ইমাম রাজ)
মুফতি মুহাম্মদ শফি রাহ. হযরত আবু সাইদ খুদরী রা. এক হাদীস উদ্ধৃত করেছেন। তাতে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, চল্লিশ হাজার জগত রয়েছে, আর এ পৃথিবী পূর্ব হতে পশ্চিম ও উত্তর হতে দক্ষিণ পর্যন্ত একটি জগত। বাকি গুলির প্রত্যেকটিও অনুরূপ। হযরত মাকতিল রাহ. থেকে বর্ণিত হয়েছে, জগতের সংখ্যা আশি হাজার। ••• আজকাল রকেট প্রভৃতি বৈজ্ঞানিক যানের যুগে মহা শূণ্য ভ্রমনকারীগণ যা কিছু বলেন, তা ইমাম রাজীর বর্ণনার চেয়ে অধিক নয়! (তাফসিরে মা‘আরিফুল কুরআন)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন