সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

"সমাপ্তির পূর্নতা"

"সমাপ্তির পূর্নতা"
"সমাপ্তির পূর্নতা"
একটি অসমাপ্ত উপন্যাস কম্পমান শুষ্ক পবনে,
স্বপ্ন দেখা একজোড়া নিথর নয়ন কোনে এক বিন্দু মুক্তা এখনো বর্তমান।
সেথা অন্তহীন অপেক্ষার ছাপ স্পষ্ট!
রক্তবেগুনী পাড় শুভ্র শাড়ীর প্রনয়াচল চাপা পড়া কালিবিহীন কলমে.....
কাপড়ের পুত্তলিকার পাশে ধূলার শয়নে লুটায়ে আশালতা!
মহিনের মায়াবিনী আশালতা!
যার ছোট্ট কুটিরে কাজলদিঘী নয়ন অপেক্ষার প্রহর গুনতো,শব্দেরা বুনতো প্রণয়জাল।
দীর্ঘশ্বাসের অশ্রুস্রোত বইতো চিবুক ছুয়ে।
ধুসরে ঢাকা গলিতে সাতরঙা আলো জ্বালতে,
ভালোবাসাই আজ তার কাল!
শান্ত-ক্লান্ত নিরব আশালতা,
মহীনের মায়াবিনী আশালতা!
যার চপলতায়-উচ্ছলতায় মেতে থাকতো আঙিনা,রুঢ় বাস্তবতা ছিলো যার অজানা;
আর দখিন হাওয়ায় ভর করে দোলনায় ডানা মেলবেনা।
অশান্ত আঁচল উড়িয়ে আর টাঙাবেনা ভালবাসার পতাকা!
এপিটাফের ছায়ায় আড়াল আশালতা,
ঘোর নিদ্রাচ্ছন্ন আশালতা!
সাঝবাতির আলোয় আর শেষ করা হবে না অসমাপ্ত কবিতা।
ঝিঁঝিঁর নুপরের তালে নেচে জোনাক কন্যাদের সাথে সখ্যতা আর হবেনা,হবেনা জ্যোৎস্না-অমাবস্যার সন্ধিকালের সাক্ষী হওয়া।
এপিটাফই টেছেছে শেষের কবিতা!
অপেক্ষার প্রহরী আশালতা,
আশার তরী আশালতা!
শেষ পলকের আগের স্বপ্ন আখিপটে এখনো বর্তমান,
সেথা আছে ভালবাসা আর আবছা অভিমান!
নেই আর ধারালো সে জ্যোতি,
শেষের কবিতার শেষ লাইন জুড়ে শুধুই শূন্যাতার মিথ্যা আকুতি!
হঠাৎ,
প্রচন্ড ধাক্কায় দোর খুলে ভাঙা কুটিরে প্রবেশ আশান্ত পদযুগলের।
দিয়াশলাই আলোয় জ্বালা প্রদীপ আলোয় পাথরসম নয়নে দৃশ্যমান-
জ্বলে জ্বলে নিঃশেষ শেষ জ্বালা সাঝবাতি,
আধারে খুব কাছ দিয়ে হেটে যায় দুটো তেলাপোকা আর পথভ্রষ্ট নির্ভীক টিকটিকি.....
একটি অসম্পূর্ন উপন্যাস কম্পমান শুষ্ক পবনে,
আঁধার পড়ে যাচ্ছে নিথর নয়নে।
অসমাপ্ত হয়েও কি আশ্চর্য সমাপ্তি ছোট্ট তিনটি লাইনে!
__এপিটাফের ছায়ার পাশে একদিন প্রদীপ জ্বেলে তুমি পড়বে অসমাপ্ত শেষের কবিতা।
আমার অপেক্ষার অপূর্নতার সমাপ্তি টানবে অশ্রুজলে।
আমার কবিতা,শুণ্যাতা -পূর্ণতা তুমি সবি তা.....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন