তারাবি ৮ নাকি ২০ রাকাত, চাঁদ দেখা ও রোজা রাখা একসাথে নাকি আলাদা... ইত্যাদি ইত্যাদি। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ সময়কে আমরা কত অবহেলায় কত আজেবাজে উপায়ে নষ্ট করছি তা বলাই বাহুল্য। আমাদের একেকজনের জীবনে ঈমান ও আমলের কী অবস্থা তার সবচেয়ে বড় সাক্ষী তো আমরা নিজেরাই। বাংলাদেশের চলমান সামাজিক-পারিবারিক-অর্থনৈতিক ও রাস্ট্রীয় এই পরিবেশে যারা এমন তর্কতে মজেছেন/অন্যদেরকে মজাচ্ছেন তারা আদৌ ভালো কাজ করছেন নাকি আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ সম্ভাবনা সৃষ্টি করছেন তা আল্লাহই জানেন।
এই প্রসঙ্গে 'রিয়াদুস সলিহীন' থেকে নেয়া কিছু হাদিস শেয়ার করছি। আল্লাহ আমাদেরকে মাফকরুন।
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়।” [মুসলিম]
,সা-১৫৪৭
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন ভালো কথা বলে অন্যথায় চুপ থাকে।” [বুখারী,মুসলিম]
#রি,সা-১৫১১
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ “বান্দা যখন ভালো-মন্দ বিচার না করেই কোন কথা বলে, তখন তার কারণে সে নিজেকে জাহান্নামের এত গভীরে নিয়ে যায় যা পূর্ব ও পশ্চিমের দুরত্বের সমান।” [বুখারী,মুসলিম]
#রি,সা- ১৫১৪
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহর যিকর ছাড়া বেশি কথা বলো না। কেননা আল্লাহ তা’আলার যিকর বা স্মরণবিহীন বেশি কথাবার্তা মনকে পাষাণ করে দেয়। আর পাষাণ হৃদয় ব্যক্তি আল্লাহ থেকে সর্বাধিক দূরে।” [মুসলিম]
#রি,সা-১৫১৮
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “মু’মিন ব্যক্তি কখনো ঠাট্টা-বিদ্রুপকারী, অভিশাপকারী, অশ্লীলভাষী ও অসদচারী হতে পারে না।” [তিরমিযি]
#রি,সা-১৫৫৫
উকবা ইবনে আমের (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ রাসূল! নাজাতের উপায় কি? তিনি বললেনঃ তোমার জিহবাকে সংযত রাখ, তোমার ঘরকে প্রশস্ত কর* এবং তোমার অপরাধের জন্য কান্নাকাটি কর। [তিরমিযি]
* ঘরকে প্রশস্ত কর অর্থাৎ মেহমানদারি করা।
সলিহীন:১৫২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন