রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

নদী ও মানুষের জীবন

নদী ও মানুষের জীবন




আজও নদী বয়ে যায় তার আপন গতিতে। শধু মাঝে মাঝে তার গতি পথটা বদলে গেছে। কোথাও জমেছে চর আবার কোথাও বা নতুন নতুন জায়গা ভেঙ্গে গেছে নদীর দিকে অসমান ভাবে। এখন হয়তবা পানি এই নদী দিয়ে আগের মত প্রবাহিত হয় না আগের মত ক্ষর স্রোত আর নেই। আগের মত রঙ ও নেই পানির। স্বচ্ছ পানি হারিয়ে গেছে এখন শুধু পানির মধ্যে নানা ধরনের ময়লা আর আবর্জনা।
নদীর মত মানুষের জীবনটাও পরিবর্তন হয়ে গেছে। এক সময় মানুষের জীবন ছিল নদীর গতি পথের মত। আজ তা যে নির্দিষ্ট জায়গায় থাকার কথা তার থেকে অনেক দুরে। কারু হয় তবা মন ভেঙ্গে গেছে বিভিন্ন ভাবে্ , আবার বেশীর ভাগ মানুষের হৃদয়ে নদীর চরের মত অনেক দুঃখের ক্ষত তৈরী হয়েছে। কেউ নতুন নতুন গতি পথ তৈরী করে নিচ্ছে। আর মনের রঙ ওটা তো পানির রঙের মত পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগের মত স্বচ্ছ মনের মানুষ আর নেই , মানুষের মনে এখন নানা কুটিলতা বাসা বেধেছে।তবে মনের জোয়ার ভাটা নির্দিষ্ট নিয়মে হয় কখনো হাসে কখনো কাঁদে। তার মধ্যেও মানুষের জীবন কেমন করে যেন চলছে।
মানুষ যেন নিজের নিজস্ব আচরন বিচরন থেকে অনেক পিছনে চলে গেছে। হারিয়ে ফেলছে ব্যক্তি সত্ত্বাকে।হারিয়ে ফেলছে তার মানবতা বোধকে। যেন এখানে আমরা কেউ কাউকে চিনি না। একে অপরের দুষমন বললেও ভুল হবে না। কিন্তু এমন হল কেন ?
একটা পশু আর একটা পশু যেমন আচরন করে আমরা মানুষ আর একজন মানুষের সাথে তার চেয়ে খারাপ আচরন করি। কাকে এই জীবন যুদ্ধে নিচে ফেলে উপরে উঠতে চাই ? আর নিচে ফেলে দিলেই কি জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে গেলাম ? শুধু গড়ে তুলতে পাড়ি বিশাল সাম্রাজ্য ধন দৌলত। কিন্তু পরিশেষে সমাপ্তিটা হয় কেমন। তা সবাই জানে, নিরবতা নিরবতা নিরবতা। কেউ কি কোন কিছু নিয়ে যেতে পারব ঐ অজানা দেশে ? হয়তবা আমার আত্বীয় স্বজনরা সব ভোগ করবে। কিন্তু এই পাপের বুঝা কে বইবে ? আমার আত্বীয় স্বজন, না আমি নিজেই বইতে হবে ? পরকালে কি বলব ঐ বিচারকের কাছে ?
নদীত নিজে নিজে পরিবর্তন হচ্ছে না। নদীর পরিবর্তনের মাঝে মানুষের তৈরী অনেক কারন আছে। কিন্তু আমাদের এই পরিবর্তনের কারন কি ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন